বিশেষ প্রতিনিধি: যশোর অভয়নগরে মিতা মন্ডল(২৩) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে অভয়নগর থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১১মার্চ) দুপুরে উপজেলার পায়রা ঘোড়াদাড়ী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত গৃহবধূ মিতা মন্ডল উপজেলার পায়রা ইউনিয়নের ঘোড়াদাড়ী গ্রামের জয় মন্ডলের স্ত্রী।
পারিবারিক সৃত্রে জানা গেছে, যশোর সদরের কাজীপুর বলা ডাঙ্গা গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী দিলিপ মন্ডলের মেয়ে মিতা মন্ডলের ৫ বছর আগে বিয়ে হয় অভয়নগর উপজেলার পায়রা ঘোড়াদারী গ্রামের বিপ্লব মন্ডলের ছেলে জয় মন্ডলের সাথে। বিয়ের তিন বছর পর মিষ্টি মন্ডল নামে তাদের এক কন্যা সন্তান জন্ম নেয়।
মিতার পরিবারের অভিযোগ: বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই ছিল। কারনে অকারনে মিতাকে শারিরীক নির্যাতন করতো স্বামী জয় মন্ডল।
মিতার বড় বোন রুপা সরকার বলেন, তার বোনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার বোনের স্বামী জয়মন্ডল সোমবার রাত ১২টায় ফোন করে মিতাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় । সকালে ৭টায় মিতার সাথে রুপা মন্ডলের যখন কথা হয় তখন সে ঘরের আসবাপত্র ভাংচুর করছে জয় মন্ডল ভিডিও কলে দেখাচ্ছিল। এসময় হঠাৎ মিতার কাছ থেকে ফোন কেড়ে নেয় জয়। এটাই বোনের সাথে তার শেষ কথা। বেলা ১১টায় বাড়ীর পাশে আব্দুল্লাহ নামে এক ছেলে তাদের খবর দেয় মিতা মারা গেছে। খবর পেয়ে তারা ছুটে আসে বোনের বাড়ীতে। এসে বোনের মৃত দেহ দেখতে পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। মিতার শরিলের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে মিতার পরিবার থেকে দাবী করা হয়েছে।
এবিষয়ে ভবদাহ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ওমর ফারুক জানান, তারা খবর পেয়ে বাড়ী গিয়ে মিতার মৃত দেহ বারান্দায় দেখতে পায়। সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এদিকে জয় মন্ডলের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিয়ের পর থেকে পারিবারিক জীবনে দু’জনার মধ্যে অশান্তি লেগেই ছিল। রাতে স্ত্রী মিতার সাথে কথা কাটিকাটি হয়। এসময় মিতাকে চরথাপ্পর মেরেছে বলে স্বীকার করে। এই রেশ ধরে তাদের মধ্যে আবারও মঙ্গলবার সকালেও ঝগড়া হয়। জয় মন্ডল নিজ কাজে চলে যায়। কিছুক্ষন পর খবর পেয়ে বাড়ী এসে ঝুলন্ত অবস্থায় মিতার দেহ দেখতে পায়। এলাকার লোকজন নিয়ে স্ত্রীর দেহ নিচে নামিয়ে এনে দেখে মৃত।
এব্যাপারে অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আলিম জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ যশোর মর্গে পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...