বিশেষ প্রতিনিধি: যশোর অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের ডুমুরতলা গ্রামের সরখোলা- মশিয়াহাটি সড়কের পাশে ‘দারুল আসাদ খামারবাড়ি’র গাছে ঝুলছে লাল রঙের সূর্যডিম (মিয়াজাকি) আম।
সরেজমিনে জানা গেছে, জাপানের বিখ্যাত সূর্যডিম (মিয়াজাকি) আম চাষে সাফল্য পেয়ে উচ্ছ্বসিত খামার মালিক আসাদুর রহমান। সে গুয়াখোলা গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
দারুল আসাদ খামারবাড়ি ঘুরে দেখা গেছে, দুটি মাছের ঘেরের মাঝে (আইলে) সারিবদ্ধভাবে মিয়াজাকি আমগাছ লাগানো রয়েছে। গাছগুলো তেমন বড় না হলেও বোঁটায় বোঁটায় রঙিন আম ঝুলছে।
খামারের মালিক আসাদুর রহমান বলেন, ‘পত্রপত্রিকার খবর দেখে বিশ্বের সবচেয়ে দামি আমগাছের চারা বাণিজ্যিকভাবে রোপণের সিদ্ধান্ত নিই। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ভারত থেকে ৬৫টি চারাগাছ আমদানি করা হয়। একটি চারাগাছ আনতে খরচ হয় চার হাজার ২০০ টাকা। বর্তমানে ২৩টি গাছে আম ধরেছে। বাকি গাছগুলোতেও আম ধরতে শুরু করেছে। চলতি মৌসুমে ১ হাজার টাকা কেজি দরে অন্তত পাঁচ লাখ টাকার আম বিক্রির আশা রয়েছে।’
জানা গেছে, জাপানের বিখ্যাত মিয়াজাকি (সূর্যডিম) আমে অন্যান্য আমের চেয়ে ১৫ শতাংশ স্বাদ-গন্ধ ও মিষ্টতা বেশি। রংটাও ব্যতিক্রম। এসব বিশেষত্বের কারণে বিরল প্রজাতির মিয়াজাকি বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম। একটি আমের ওজন এক কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। জায়গার নামানুসারে এর নাম রাখা হয় মিয়াজাকি। কারণ দামের বিচারে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান আম এটি।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...