ষ্টাফ রিপোর্টার: ১৬ ফেব্রুয়ারী রবিবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়েল রিসোর্টে ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ সোনারগাঁও শাখা আয়োজিত “আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ” শীর্ষক ক্যাম্পেইনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আগামী নির্বাচন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।
নির্বাচনকে যদি কেউ প্রভাবিত করার বিন্দুমাত্র চেষ্টা করে তাহলে সেখানেই আরেকটি গণ অভ্যুত্থান হবে।
তিনি আরো বলেন, জনগণকে সামনে রেখে অন্তবর্তী সরকার যদি মনে করে আগামী ২৬ সালের জানুয়ারী বা ফেব্রুয়ারীতেই নির্বাচনের উপযুক্ত সময় আমরা কিছুই বলবোনা কিন্তু একটা কথা স্পষ্টভাবে বলতে চাই এ নির্বাচনকে নিয়ে যদি বিন্দু মাত্র কোন দল, কোন গোষ্ঠি, কোন শক্তি, নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা বা চিন্তু করেন, তাহলে যে সেন্টারে প্রতিবন্ধকতা হবে সেই সেন্টারই হবে জুলাই আগস্টের আরেকটি গণঅভ্যুত্থান।
ভবিষ্যতে যারা রাজনীতিতে আসতে চান তাদের এবং নিজেদের রাজনৈতিক দলে আসতে চাওয়া নেতা-কর্মীদেরকে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বি হয়ে রাজনীতিতে আসার পরামর্শ দিয়েছেন। রাজনীতিতে এসে যদি আপনার চিন্তা হয় সংসার কিভাবে চালাবেন তাহলে আপনি কখনোই দেশের সেবায় কাজ করতে পারবেন না। বিগত ফ্যাসিস্টদের মতো নিজের আখের ঘোচাতে ব্যস্ত থাকবেন। আর যদি সৎ উপায়ে আপনার পরিবারের ভরণ-পোষণ করার মতো কোন চাকরী, ব্যবসা বা অন্য কোন পেশা থাকে তাহলে আপনি রাজনীতিতে আসেন।
তিনিআরও বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ প্রধান ও তার দোসরদের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যে ফ্যাসিবাদী শাসন করেছে সে শাসনে তিনি শুধু তার নৌকাকেই ডুবাননি, তার সাথে সকল নেতাকর্মীদের মুখে চুনকালি এমনভাবে মেখে দিয়েছেন যে তাদের আর ফিরে দাড়ানোর কোন উপায় নেই। এখন দেশের মানুষের এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যানারে থেকে যারা রাজনীতি করছেন তাদের চিন্তা করার সময় এসেছে যে, আপনারা কোন দলের হয়ে রাজনীতি করবেন আর কাকে ভোট দিবেন। ফ্যাসিবাদি করে যারা পিটুনির ভয়ে দেশ ছেড়ে লেজগুটিয়ে পালিয়ে যায় তাদের, না-কি যারা সাহসের সাথে সত্য বাণী নিয়ে শত প্রতিকুলতার এবং জীবন বিপন্ন করে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে মৃত্যুকে জয় করে বুক পেতে দেয় তাদের। সিদ্ধান্ত আপনাদের।
তিনি বলেন, আগে যে ভাবে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি আর দখলবাজি হয়েছে এখনো সে সকল প্রতিটি জায়গায় চাঁদাবাজি আর দখলবাজি হচ্ছে বরং কোন কোন স্থানে আগের চেয়ে বেশিই হচ্ছে। বিগত দিনের সরকারগুলো যদি তাদের নেতা-কর্মীদের নির্দিষ্ট কোন পেশায় মনোনিবেশ করাতো। সৎ উপায়ে তাদের কোন আয়ের পথ থাকতো, যে আয় থেকে তারা তাদের সংসার চালাতে পারতেন তাহলে তাদের আজ এ পরিণতি হয়না বলেও মনে করেন সারজিস। চলতি ফেব্রুয়ারির মধ্যেই তাদের নতুন দল আত্মপ্রকাশ করবে। বর্তমান সরকারে থাকা তাদের অন্যতম সহযোদ্ধা নাহিদকে দলের পক্ষ থেকে সরকারি দায়িত্ব ছেড়ে জনগণের কাতারে দাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। সারজিস আশা করেন নাহিদ তাদের ডাকে সাড়া দিবে। তবে, বিভিন্ন গণমাধ্যম তাদের দলকে বিভক্ত করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জনকে মনগড়া পদে বসিয়ে দল ভাঙার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেন।
সারজিস বলেন, তাদের দলে যে কোন বয়সের সুস্থ্য ব্যক্তির জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তবে বিগত ফ্যাসিস্টদের দোষর বা তাদের মনোভাবের কোন ব্যক্তি যদি আসতে চান তাহলে আগে থেকেই তাদেরকে নিরুৎসাহিত করেন সারজিস আলম।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...