গত ১৫ জুলাই মুন্নি আক্তার বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি মামলা করেন মামলা নং ১৭। উক্ত মামলায় আসামিগণকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। পরবর্তীতে আসামিগণ জামিনে বেরিয়ে এসে বাদিনীকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে এবং একের পর এক অপকর্ম ও মারধর করে আসছে। এ বিষয়ে মুন্নী আক্তার বাদি হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা (উত্তর বেপারীপাড়া) নিবাসী রবিউল ইসলাম (সোহেল) এর স্ত্রী মুন্নী আক্তার বাদী হয়ে বন্দর থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে বলেন, উক্ত বিবাদী ৭ জন খুবই উচ্ছৃংখল, বেপরোয়া, খারাপ প্রকৃতির এবং মাদক ব্যবসায় জড়িত। তারা আমার পাড়াপ্রতিবেশি গত ১৫ জুলাই আমি বাদি হয়ে বন্দর থানা একটি মামলা দায়ের করি উক্ত মামলা থেকে আসামিগণ জামিন পেয়ে গত ৬ আগস্ট আসামিগণ আমার মুদি দোকানে এসে আমার উপর অতর্কিত হামলা করে আমার তলপেটে লাথি মেরে আমার বাচ্চা নষ্ট ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নিলাফুলা জখম করে। এবং গতকাল (৮ আগষ্ট) আমার দোকানে আবারো আমার স্বামী ও ছোট বোনকে একযোগে অতর্কিত হামলা করে। তখন আমার পিছন থেকে ১ হইতে ৭ নং বিবাদীরা ঝাপাইয়া পরে এলোপাথারী কিল ঘুষি মারে এবং ১ নং বিবাদী ছুইচ গিয়ার বের করে আমার গলার মুখে এবং মাথায় পোছ মারিয়া গুরুত্ব যখন করে মাটিতে ফেলে দেয়। অতঃপর আমার দোকান ভাঙচুর করিয়া নগদ ৬০,০০০ টাকা, নাকের স্বর্ণের নত ও ৩ ভরি ওজনের রুপার চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সাথে সাথে বিবাদী গন এই বলে হুমকি প্রদান করে বলিয়ে যায় কাউকে এবিষয়ে জানালে আমার ও আমার স্বামী, সন্তানদের এবং বোনের যে কোন বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করবে। এখন আমি এবং আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই ফারুক বলেন, আমি আর বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেনশাহ আহমেদ (সাবেক কাউন্সিলর) সহ একটি সিদ্ধান্ত করে উভয় পক্ষের মধ্যে আপোষ মীমাংসা করে দেব। এর মধ্যে যদি কোন ধরনের আপনার (মুন্নীর আক্তার) উপর আক্রমণ হয় সাথে সাথে আমরা আসামিকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসবো এবং চালান করে দিব।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...