পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরের নেছারাবাদে জসিম হাওলাদার (৪৫) নামে ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের এক নেতাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কিসলু সিকদারের নেতৃত্বাধীন একটি বাহিনীর বিরুদ্ধে।
বুধবার (১১ জুন) রাত ৯ টার দিকে উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়নের রাজবাড়ী বাজারে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির কাছেই এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবারের অভিযোগ, ফেসবুকে চলমান ছাত্র-জনতার আন্দোলন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করা এবং এর জবাবে পাল্টা স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জেরে এ হামলা হয়।
আহত জসিম হাওলাদারকে প্রথমে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তার অবস্থায় অবনতি ঘটলে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জসিম হাওলাদারের ভাই মো. অসীম হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ভাই একজন নিরীহ মাছ ব্যবসায়ী ও ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের সভাপতি। কিসলু সিকদার তার বাহিনী নিয়ে বাজারে এসে আমার ভাইকে প্রকাশ্যে মারধর করে। পরে তাকে ধরে নিজেদের আস্তানায় নিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে মুখ ও পিঠে কুপিয়ে জখম করে।
গুয়ারেখা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাজিব মৃধা বলেন, ‘কিসলু সিকদার মূলত স্থানীয় আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ। সে আগে থেকেই নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। সম্প্রতি বিএনপি ও ছাত্র-জনতার আন্দোলন নিয়ে ফেসবুকে একের পর এক কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে আসছিল। তাকে সতর্ক করা হলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং তার ভাই শফিক, নাঈমসহ ২০-২৫ জনের একটি সশস্ত্র দল নিয়ে এসে জসিম হাওলাদারকে তুলে নিয়ে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
গুয়ারেখা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. গাজী মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। কিসলু সিকদার নির্মমভাবে জসিমের ওপর হামলা চালিয়েছে। এর সুষ্ঠু বিচার হওয়া উচিত।’
নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. মিরাজুল ইসলাম বলেন, আহতের মুখে কাটা দাগ, ঠোঁট ও নাক ফুলে গেছে এবং পিঠে গভীর ক্ষত রয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে বরিশাল মেডিকেল পাঠানো হয়েছে।
নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বনি আমীন বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে হাসপাতালে গেছে। এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...