মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এন্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্টারপ্রেনরশিপ এন্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) প্রোগ্রামের আওতায় পার্টনার কংগ্রেস  শরণখোলায় দশম শ্রেণির ছাত্রের আত্মহত্যা   আদালতের আদেশ অমান্য করে চা বাগান কেটে ফেলার অভিযোগ গৌরীপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে নারী যাত্রী অপহরণ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে উদ্ধার আটক-৪ ডিস লাইন ডিজিটাল চালু করনে স্যাট ভিশনের সংবাদ সম্মেলন  নলদীতে জামায়াত নেতার উপর স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হামলা তাহিরপুরে বসতঘরে আগুন, ৫ জনের নামে অভিযোগ ৪২ কেজি হরিণের মাংস জব্দ করেছে বনবিভাগ  নড়াইলে তুচ্ছ ঘটনায় নিহত-১ আহত-৩  নড়াইলে দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার ৪

কোটি টাকা অর্থ আত্মসাত রহমাতুল্লাহ বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন 

মো. শামীম হোসাইন / ৩৯ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন

পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার আরামকাঠি গ্রামে অবস্থিত আরামকাঠি সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেডের মালিক মো. রহমাতুল্লাহর বিরুদ্ধে গ্রাহকদের কোটি টাকার বেশি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

এর প্রতিবাদে এবং রহমাতুল্লাহকে অতিসত্বর ফিরিয়ে আনার দাবিতে ৫ মে সোমবার সকাল ১১ টায় উপজেলা চত্বরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে শত শত ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক, সমবায় সমিতির সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন নাগরিক অংশগ্রহণ করেন।

বক্তারা বলেন, রহমাতুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের কষ্টের জমানো টাকা আমানতের নামে গ্রহণ করে, পরে হঠাৎ করেই তিনি সমিতির কার্যক্রম বন্ধ করে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। এতে করে গ্রামের শত শত মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত এক ভুক্তভোগী জানান, তিনি প্রায় দুই লক্ষ টাকা ওই সমবায়ে জমা রেখেছিলেন। আজ তা ফেরত পাওয়ার কোনো উপায় নেই। আরো অনেকেই এমনভাবে জমা রাখা টাকা ফেরত না পেয়ে চরম হতাশায় ভুগছেন।

সমবায় সমিতির অনেক সদস্য অভিযোগ করেন, এই ঘটনার সঙ্গে সমিতির অন্য কিছু কর্মকর্তাও জড়িত থাকতে পারে। তাঁরা বলেন, রহমাতুল্লাহ একা এত বড় অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করতে পারেন না। প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়, রহমাতুল্লাহ ও তার সহযোগীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। যেখানে প্রশাসন ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামি ধরতে সক্ষম হয় সেখানে রহমাতুল্লাহর ব্যাপারে প্রশাসনের ধীর গতিতে এগুচ্ছে এতে গ্রাহকরা হতাশ।

গ্রাহকগন প্রশাসনের নিকট দাবি করে বলেন, কেবলমাত্র তদন্ত নয়-আত্মসাৎকৃত অর্থ দ্রুত ফেরত দেওয়ার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ চাই।

মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা বলেন, আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি কারণ আমাদের কষ্টার্জিত টাকা ফিরিয়ে পেতে অন্য কোনো উপায় নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত রহমাতুল্লাহ গ্রেপ্তার না হবেন এবং টাকা ফেরত না আসবে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে।

উল্লেখ্য, আরামকাঠি সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় একটি জনপ্রিয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ছিল। অনেকেই বিশ্বাস করে এখানে সঞ্চয় করলে নিরাপদ থাকবে, কিন্তু সেই বিশ্বাস এখন চরমভাবে ভেঙে পড়েছে।

মানববন্ধন শেষে গ্রাহকরা নেছারাবাদ থানা অভিমুখে যাত্রা করলে থানার গেট বন্ধ করে দিলে গ্রাহকরা থানার বাহিরে মিছিল করেন। তখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রাহকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান। গ্রাহকরা জানান, প্রশাসনের সহায়তা না পেলে আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা হাসান মাসুদ রকি তার নাম্বারে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এই ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং মানুষজন আতঙ্ক ও ক্ষোভে দিন কাটাচ্ছেন।

এদিকে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে এবং অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এ ক্যাটাগরীর আরো খবর..