তেঁতুলিয়া পঞ্চগড় প্রতিনিধি: তেঁতুলিয়ায় বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞার আদেশ অমান্য করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আবাদ করা ধান ও পাট ক্ষেতে হালচাষ করার অভিযোগ উঠেছে।
গত রবিবার (২০এপ্রিল) তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নে কালারামজোত গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।জমিতে রোপনকৃত ধান ও পাট ক্ষেতে হাল চাষ দিয়ে আবাদ নষ্ট করার অভিযোগকারী তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নের অন্তর্গত কালারামজোত গ্রামের বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম তিনি জানান, মৌজা সরকারী পাড়া জেএল নং ৯ মধ্যে এসএ ২২৪ নং খতিয়ার হতে খারিজ ৯৭৬, ৯৩৮ নং ভুক্ত এসএ ৩৮৩৫ নং দাগে ৩৯ শতক, জমি সমূদ্বয় এসএ ৩৮২৮ নং দাগে ১১ শতক, জমি সমূদ্বয় একুনে (৩৭+১১)=৫০ শতক জমি আউশ ধান এবং এস এ ৩৮১৭ নং দাগে ১৬ শতক পাট ক্ষেত তিনটি দাগে ৬৬ জমি বিরোধীয়।
জানাযায়, গত ২০২০ সালে দলিলমুলে তেঁতুলিয়া সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মরহুম জহিরুল ইসলামের কাছে ৬৬ শতক জমি ক্রয় করে। জমিটি ক্রয়ের পর, তার ছোট ভাইদের দাপটে জমিতে যেতে পারিনি কিন্তু সরকার পতনের পর আমি জমিতে গমের বিজ রোপন করি সেটি হাল মেরে নষ্ট করে ফেলে, পরে আবার চাষ দিয়ে আউশ ধান ও পাট রোপন করি সেটিও গত ২০ এপ্রিল রাতে বেশকিছু লোকজন নিয়ে ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ দিয়ে নষ্ট করে করেন। এতে আমার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি গত মঙ্গলবার ২১ এপ্রিল তেঁতুলিয়া মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
পঞ্চগড় জেলা আদালতে মামলা চলমান রয়েছে যাহার মামলা নং-১০৪/২০২৫ ধারা কাঃ বিঃ ১৪৪/১৪৫ এবং প্রসেস নং ৩৯১/২৫ তাং ১৮/৩/২৫ ১ম পক্ষ পঞ্চগড় জেলার সাতমেড়া ডাংগাপাড়া বাসিন্দা পিতা মৃত রমিজ উদ্দিন ছেলে তরিকুল ইসলাম( ৪৩)।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে দেশ ও জাতির কাছে এটা বিচার চাই এই জমির উপর বিজ্ঞ আদালতের ১৪৪/১৪৫ ধারা জারি করা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান,জমিটি তার বড় ভাইয়ের কিন্তু তার ছোট ভাই এটি আবাদ করে খেত পরে শুনলাম এটি নাকি চার বছর আগে জহিরুল জমিটি ক্রয় করেছে।এই সূত্রের জহিরুল এই জমিতে আছে হাল চাষ করে এবং পাট ও আমন ধান রোপন করেছিলো আমরা দেখেছি।
তার মা তাহেরা খাতুন জানান, আমার ছেলে ও জামাই জমিটি চার বছর আগে জহিরুল হেডমাস্টারের কাছে ক্রয় করে পরে তার ছোট ভাই শাহিনুর ক্ষমতার জোরে জমিতে যাইতে পারেনি। সরকার পতনের পর আমরা সেই জমিতে ধান ও পাট রোপন করলে তারা আবার কি ভাবে রাতের লোকজন নিয়ে জমির রোপনকৃত নষ্ট করে।আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।২য়পক্ষ সরকার পাড়া গ্রামের বাসিন্দা
শাহিনুর ইসলাম( ৫৫) তিনি জানান, আমার বড় ভাই জমিটি বিক্রি করেছে চার বছর আগে,জমিটি কেনার আগে সে তো আমাদেরকে জানাতে পারতো আমাদেরকে না জানিয়ে কিভাবে জমিতে হাল দিতে যায়।সে জমির চতুর্পাশের সব জমি আমাদের এবং সেটি আমরা আবাদ করতাম সে যেহেতু কোর্টে মামলা করেছে। আমরা নোটিশটি পেয়েছি কোর্টের মাধ্যমে তার জবাব দিব।
এব্যাপারে তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুসা মিয়া বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। জমিতে যাহাতে কোন প্রকার আইন শৃঙ্খলা অবনতি না ঘটে সেই দিকে সজাগ দৃষ্টি অনুরোধ করা হয়েছে।তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...