যশোর জেলা প্রতিনিধি: ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারী যাত্রীদের লাগেজ পারাপারকে কেন্দ্র করে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসে কর্মরত কয়েকজন আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, চুক্তির বিনিময়ে যাত্রীদের লাগেজ স্ক্যান ছাড়াই পার করার সুযোগ দিচ্ছেন এসব সদস্য।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত আনসার সদস্যরা হলেন, সাধন, সুমন, কৃষ্ণ, নাজির ও জাকিরুল। যাত্রী ও সংশ্লিষ্টদের দাবি, এদের মধ্যে সুমন ও সাধন কাস্টমসের স্ক্যানিং মেশিনের সামনে অবস্থান নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে সরাসরি আর্থিক চুক্তিতে লাগেজ পার করছেন।
অপরদিকে কৃষ্ণ, নাজির ও জাকিরুল চুক্তিভিত্তিক লাগেজগুলো পোর্টের ভিতর থেকে বের করে এনে বিজিবি টেবিল অতিক্রম করিয়ে বাইরে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আনসার প্লাটুন কমান্ডার (পি.সি.) সাজ্জাদ হোসেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দায়িত্ব এড়িয়ে যান।
তিনি বলেন, “এই ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। এখন তো তেমন মালামাল আসে না, যখন বেশি আসে তখন তারা হয়তো টাকা নিয়ে লাগেজ পার করায় জড়িত থাকতে পারে, সবার তো টাকার দরকার আছে !” তার এমন মন্তব্যে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার ঘ্রাণ স্পষ্ট।
তবে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, কাস্টমসে কর্মরত প্রত্যেক আনসার সদস্যকে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ‘উপর মহলে ভাগ’ হিসেবে পিসি সাজ্জাদ হোসেনকে দিতে হয়। অনেকেই মনে করছেন, নিচতলার আনসার সদস্যদের এই ঘুষ বাণিজ্যের পেছনে রয়েছে সাজ্জাদ হোসেনের নীরব সম্মতি ও অংশীদারিত্ব। অর্থাৎ, শুধু ‘অবহেলা’ নয়, বরং ‘পরিচালনাকারী’ হিসেবে পিসির ভূমিকা নিয়ে উঠেছে বড় প্রশ্ন।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, এই পুরো প্রক্রিয়াটি একটি সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হচ্ছে, যা কাস্টমস নিরাপত্তার প্রতি চরম হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ফলে সরকারি রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি দেশের নিরাপত্তাও ঝুঁকির মুখে পড়ছে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগের প্রেক্ষিতে যথাযথ তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...