বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রাণীশংকৈলে কুলিক নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের গর্তে শিশু নিহতের ঘটনায় মানববন্ধন রূপগঞ্জে কিশোর রাকিব হত্যা ও চাঁদাবাজি মামলার আসামি গ্রেফতার হাসান আলীর সুস্থতা কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  রূপগঞ্জে গ্যাসের চার শতাধিক অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ইউএনও’র নির্দেশে বে-আইনি ভাবে বালু উত্তোলনের গর্তে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু তেঁতুলিয়ায় বিএম কলেজ অধ্যক্ষের বিরূদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যে এলাকাবাসীর মানববন্ধন সরব আলোচনার কেন্দ্রে ভাংগার খাটরা গ্রাম মসজিদ কমিটির  বিরুদ্ধে  গুরুতর অভিযোগ  সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহ মিলল মেঘনা নদীতে সাংবাদিকের সাথে অ্যাডভোকেট বিশুর অশোভন আচরণ ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম  সুনামগঞ্জ-১ আসনে মো. মাহবুবুর রহমান তৃণমূল বিএনপির পছন্দ

রাণীশংকৈলে কুলিক নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের গর্তে শিশু নিহতের ঘটনায় মানববন্ধন

মাহাবুব আলম / ৪৩ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:৫২ অপরাহ্ন

রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল কুলিক নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের গর্তে পড়ে শিশু নিহতের ঘটনায় বুধবার (২৭ আগষ্ট) দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিন হয়।

অভিযোগ উঠেছে মানববন্ধনটি বানচালের জন্য ইউএনও ব্যাপক চেষ্টা চালিয়েছে। অবশেষে অল্প সংখ্যাক মানুষের অংশগ্রহণে মানববন্ধনটি শেষ হয়।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাব-ঠিকাদার মতিউর রহমান ও ইউএনও শাফিউল মাজলুবিন রহমানের অবহেলাজনিত অপরাধের বিচার দাবী করেন। বর্তমানে উত্তরগাঁও এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া কুলিক নদীর বালু তোলা অংশটি ব্যাপক ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এটির দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে এলাকাবাসীকে বিপদ থেকে রক্ষা করার দাবী তোলা হয়।

তারা আরো বলেন, ইউএনও যদি আইনভঙ্গ করে, তাহলে রক্ষা করবে কে? যেখানে ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু তোলার অপরাধে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। কিন্তু চতুর ইউএনও উল্টো ঠিকাদারের ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে রামরায় পুকুরে নিয়ে এসেছেন। আর নদীর সেই গর্তে উত্তরগাঁও গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে শায়ান আহাম্মদ নদীতে খেলাধুলা করতে গিয়ে ড্রেজারের বালু তোলা গর্তে পড়ে পানির নিচে তলিয়ে যায়। পরে ড্রেজার মেশিনের লোকজন তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।

নিহতের মা বিলকিস বেগম জানান, আমার ছেলের বিনিময়ে আমি কিছু চাইনা, যাদের অবহেলায় আমার সন্তানটি মারা গেছে তাদের বিচার চাই।

এপ্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিউল মাজলুবিন রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

এবিষয়ে জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা মুঠোফোনে জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। শিশুর মৃত্যুর ঘটনাটি অনন্ত দুঃখজনক। তবে ইউএনও বলেছেন সে বালু কিনে নিয়েছে। ইভার ব্যাংক প্রটেকশন প্রকল্পের আওতায় কনটাক্টরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি যদি ড্রেজারের মাধ্যমে নদী থেকে বালু তোলে থাকে তাহলে সেটি বে-আইনি জেলা নির্বাহি প্রকৌশলী কে দায়িত্ব দিয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এ ক্যাটাগরীর আরো খবর..