রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০২:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নারায়ণগঞ্জ ও বন্দরে কয়েকটি পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করলেন- আবু জাফর আহমেদ বাবুল খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতাল পরিস্কার, মশক নিধন ও ডেঙ্গু কিট প্রদান করেন- আবু জাফর আহমেদ বাবুল মদনপুরে তারেক রহমানের লিফলেট বিতরণ করলেন- আবু জাফর আহমেদ লিফলেট বিতরণে ব্যস্ত সময় পার করলেন-আবু জাফর আহমেদ বাবুল বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী বাবুল আহমেদ’র লিফলেট বিতরণ নারায়ণগঞ্জ মহানগর ১৯ ও ২০ নং ওয়ার্ডে বাবুল আহমেদ’র জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ বন্দরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত বন্দর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি’র উদ্যোগে রাস্তা নির্মাণ নাসিক ১৯ নং ওয়ার্ড মাসুদুজ্জামান মাসুদ’র পক্ষে চষে বেড়াচ্ছে সাবেক যুবদল কর্মীরা আইভীপন্থী যুবলীগ কর্মী জাহাঙ্গীর গ্রেপ্তার

বন্দরে মুছাপুরে লাভলী মেম্বার ও দেলোয়ারের পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

নূর এ আজাদ / ৬৩ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০২:২৭ অপরাহ্ন

নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম, মহিলা মেম্বার লাভলী বেগম, মনোয়ার মেম্বার ও মনোয়ার মেম্বারের ভাই দেলোয়ারের বিরুদ্ধে মো. রিয়াদ হোসেন নামে এক ব্যাক্তি বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দেয়ায় এর প্রতিবাদে দেলোয়ার হোসেন পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

১৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদে তারা এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বির্তকিত সনদ গ্রহণকারী কাজী নজরুল ও লাভলী মেম্বার।

সংবাদ সম্মেলনে দেলোয়ার বলেন, আমার ভাই মনোয়ার মেম্বার ও বোন লাভলী মেম্বার এখনো সেই সনদে স্বাক্ষর করেনি। আর যে ব্যক্তি এ অভিযোগ করেছেন তিনি এ এলাকার বাসিন্দা নন। তিনি ঢাকায় বসবাস করেন। যে কিছু মিথ্যা গালগল্প সাজিয়ে এ অভিযোগ করেছেন। ওয়ারিশ সনদে যদি কোন অসংঘতি থাকে তাহলে সনদ যে নিয়েছেন তিনি দায়ি হবেন। এখানে আমাদের কেন বদনাম করা হচ্ছে। প্রকৃত পক্ষে সনদটি একটি ইস্যু এর বাইরে বিএনপির নামধারী একজন নেতা পরিচায়দানকারী রয়েছেন তার নাম তাওলাদ হোসেন। তিনিই এর কলকাঠি নাড়ছেন। তিনি কিছু দিন পর পর এসে আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করে। আমরা চাঁদা দিতে না চাইলে সে এ ধরনের একটি নাটক সাজিয়ে আমাদের হয়রানি করার চেষ্টা করে। তার অত্যাচারে লাঙ্গলবন্দ এলাকার মানুষ অতিষ্ট।

রিয়াদ হোসেন মুছাপুরের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন ও আমাদের নামে অভিযোগ করেছে তার বাড়ি ১০৪ আফসার করিম রোড, শ্যামপুর, ফরিদাবাগ কদমতলী ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। তার পিতার নাম দুদু মিয়া আর মায়ের নাম রেজিয়া বেগম। তার এনআইডি নং ৬০০৭৯৯৮৫৩৮। সে মুছাপুরের বাসিন্দা নন। তাহলে আমরা কিভাবে তাকে হুমকি দিলাম। এ প্রশ্ন সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসন ও সমাজের কাছে।

সংবাদ সম্মেলনে মহিলা মেম্বার লাভলী বলেন, আমাদেরকে বলা হচ্ছে আমরা নাকি আওয়ামী দোসর। আমি একজন জনপ্রতিনিধি। পরিষদের কাজে যদি স্থানীয় এমপি আসে তাহলে আমাদের সেখানে যেতে হবে। বর্তমানে বিএনপি নেতারা পরিষদে আসলে আমাদের সেখানে যেতে হয়। সেখানে আমাদের ছবি নেতাদের সাথে থাকতেই পারে। আমি চ্যালেঞ্জ করছি আমার নাম কোন রাজনৈতিক দলের মধ্যে দেখাতে পারে তাহলে আমি সকল শাস্তি মাথা পেতে নেব। আমাদের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য এ ধরনের অপপ্রচার ও অনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য হয়রানি করার চেষ্টা করছে। আমি এসকল অপপ্রচারের নিন্দা জানাই। সেই সাথে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানাই যাতে সুষ্ঠ তদন্ত করে এর বিচার করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তারা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এদিকে রিয়াদ হোসেনের অভিযোগ হলো মঞ্জুর আলম চেয়ারম্যান এবং তার সহযোগী মনোয়ার মেম্বার, লাভলী মেম্বার ও দালাল দেলোয়ার উক্ত ব্যাক্তিরা মিলে সাধারণ মানুষের জমিজমা নিয়ে ভুয়া ওয়ারিশ সনদ তৈরি করে প্রতারণা করছেন। এর ফলে ইউনিয়নের প্রকৃত ওয়ারিশগণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এবং ইউনিয়ন পরিষদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এ ক্যাটাগরীর আরো খবর..