শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নির্বাচনের পূর্বে গণভোটের দাবীতে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ধানের শীষে ভোট দিন- আনিসুল হক পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ব্লকে তেল ফসলের আবাদ বৃদ্ধির জন্য উদ্ধুদ্ধকরণ সভা রূপগঞ্জে চার যুবলীগ-ছাত্রলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ রাণীশংকৈলে দুই মাথাওয়ালা বাছুরের জন্ম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে স্কুলে স্কুলে বাবুলের পানির ইউনিট স্থাপন নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল পরিস্কার ও ডেঙ্গু কিট প্রদান করেন- আবু জাফর আহমেদ বাবুল রূপগঞ্জে বিনামূল্যে ঔষধ ও চিকিৎসা সেবা পেল ৮ শতাধিক দরিদ্র মানুষ রাণীশংকৈলে দিনমজুরের বাড়িতে কৃষি কাজে ব্যাবহৃত ১৯ টি মেশিন ও সোলার পাম্প  মাসুদুজ্জামান এর পক্ষে হাজী নূরুদ্দিন আহমেদ কে নিয়ে সাহাদুল্লাহ মুকুলের পথসভা ও লিফলেট বিতরণ

জুলাই আন্দোলনে নিহত সন্তানের অপেক্ষায় মা সেতারা বেগম 

মো. শামীম হোসাইন / ৩৭০ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪০ অপরাহ্ন

পিরোজপুর প্রতিনিধি: মঠবাড়িয়ার ছেলে বাসচালক আবু জাফরের ফেরার অপেক্ষায় মা সেতারা বেগম। প্রায়ই স্বপ্নে দেখেন ছেলে ফিরে এসেছে। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠেন তিনি। ছেলের ফিরে আসার অপেক্ষায় দরজার পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন মা।

২০২৪ সালের ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় রাজধানীর গোলাপবাগে আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত হন তিনি। ১৯ জুলাই রাতে গ্রামের বাড়িতে তার লাশ দাফন করা হয়।

গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ছোট মাছুয়া গ্রামে। পরিবারের ছোট ছেলে আবু জাফর বাবার বাড়িতে স্ত্রী ও তিন ছেলেকে নিয়ে বসবাস করতেন। শ্যামলী পরিবহণের চালক ছিলেন তিনি।

জাফরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, এখনও ঘরের ভেতরে বৃদ্ধা মা সেতারা বেগম ছেলে হারানোর শোকে কান্নাকাটি করছেন। তিনি বলেন, আবু জাফরের আয়েই সংসার চলত। পৈতৃক সূত্রে পাওয়া বসতবাড়িটি ছাড়া আর কোনো সম্পদও নেই। আমার ছেলের অপরাধ কী? কেন গুলিতে তার মরতে হলো?

মা’ সেতারা বেগম বলেন, আবু জাফরের তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে পড়াশোনা শেষ করে বেকার। মেজো ছেলে কেরানীগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় এবং ছোট ছেলে স্থানীয় বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। তার মৃত্যুতে আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। এই সরকার আমার সন্তান হত্যার বিচার করবে। আমরা ন্যায়বিচার চাই। অন্তত মৃত্যুর আগে সন্তান হত্যার বিচার দেখে যেতে চাই।

জাফরের পরিবারের সদস্যদের দাবি, ১৭ জুলাই সন্ধ্যায় শ্যামলী পরিবহণের একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ে মঠবাড়িয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন তিনি। পরদিন বিকালে তাকে ফোন করে বাস কাউন্টারে যেতে বলেন পরিবহণটির কর্মকর্তারা। ফোন পেয়ে ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকার বাসা থেকে বের হয়ে হেঁটে কর্মস্থলের দিকে যাচ্ছিলেন। পরে রাজধানীর গোলাপবাগ এলাকায় পৌঁছার পর পুলিশের ছোড়া গুলি এসে তার গলা ও বুকে বিদ্ধ হয়। এতে তিনি ঘটনাস্থলে সড়কের উপর লুটিয়ে পড়েন। আশপাশের পথচারীরা উদ্ধার করে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

পথচারী এক নারীর কাছ থেকে মুঠোফোনে জাফরের মৃত্যুর খবর পান তার পরিবার।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শফিকুল আলম জানান, পরিবারকে প্রয়োজনীয় সরকারি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তার পরিবারকে সরকারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এ ক্যাটাগরীর আরো খবর..