নিজস্ব সংবাদদাতা : ফতুল্লায় সারফিন আহম্মেদ নামের এক ব্যক্তি ও তার পরিবারের লোকজনদেরকে মারধর করেছে দুর্বৃত্তরা। স্ত্রীর ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের হাতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সারফিন আহম্মেদ ও তার মাতা-পিতা মারধরের শিকার হন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই সারফিন আহম্মেদ বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের বরাত দিয়ে সারফিন আহম্মেদ জানান, আমার ও আমার স্ত্রীর সাংসারিক কলহের জের ধরে আমাদের উভয় পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমার ও আমার স্ত্রীর ডিভোর্স এর জন্য জেলা দায়রা জজ আদালত লিগ্যাল এইডে আমার শ^শুর রশিদ সরদার কথামতো আমার স্ত্রী রাজিয়া আক্তার রিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী গত ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুর অনুমান আড়াইটার সময় আমি ও আমার মাতা এবং পিতা বিজ্ঞ আদালতে উপস্থিত হয়ে আদালতের নির্দেশ মান্য করি।
এমতাবস্থায় আমার ও আমার স্ত্রীর ঔরসজাত সন্তান তাফসির আহমেদ (২.৫) আমার কোলে আসার চেষ্টা করলে রশিদ সরদার আমার সন্তানের পথরোধ করে আমার সন্তানকে মারধর করে। এমতাবস্থায় আমার মাতা রিনা আহমেদ বিষয়টি প্রতিবাদ করলে রশিদ সরদার আমার মাতাকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
আমার মা বিবাদীকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করিলে রশিদ সরদার আমার মার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। আমার মাকে স্ব-জোরে তার ডান হাত দিয়ে বুকের বাম দিকে ঘুষি এবং লাথি মারে। একপর্যায়ে আমার মা রশিদ সরদারের আঘাতে অজ্ঞান হয়ে যায় এবং আমি ও আমার পিতা সাথে সাথে আমার মাকে খাঁনপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাই।
পরবর্তীতে অনুমান বিকাল ৪টার সময় বিবাদী রশিদ সরদারের নির্দেশে আমার স্ত্রীর ভাই সাকিব সরদার ও স্বাধীন সরদার এবং ভাড়াটে সন্ত্রাসী আনোয়ার সানি সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে খাঁনপুর হাসপাতালে আমাকে এলোপাথাড়ী, কিল, ঘুষি, লাথি, চড়, থাপ্পর ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা রক্ত জখম করে এবং আমার সাথে থাকা কাবিনের জন্য নগদ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়।
এছাড়া তিনি আরও বলেন, খানপুরে আমাদেরকে মারধরের খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমাদের উদ্ধার করেন এবং আমার ও আমার পরিবারের লোকজনদেরকে ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ দায়েরের পরামর্শ প্রদান করেন। আপনারা আদালত প্রাঙ্গণ ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণের সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই বুঝবেন আমার শ^শুর রশিদ সরদার ও আমার স্ত্রী রাজিয়া আক্তায় রিয়া ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে আমার ও আমার বাবা-মায়ের উপর হামলা করেন। তাছাড়াও জানতে পারলাম আমাকে হামলা করে আবারও আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেন। বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ রেহানুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...