শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: বাগেরহাটের শরণখোলায় মোবাইল চালাতে না দেয়ায় মায়ের সাথে অভিমান করে মাদ্রাসায় পড়ুয়া চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী ইয়ামনি (১২) চালের মধ্যে দেওয়া বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
২২ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামে সৌদি প্রবাসী ইলিয়াস হাওলাদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ইয়ামনির পরিবার ও থানা সূত্রে জানা যায়, শরণখোলা উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী ইলিয়াস হাওলাদারের মেয়ে ও রায়েন্দা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন নুরানী মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী ইয়ামনি মাদ্রাসা থেকে এসে প্রায়ই মায়ের মোবাইল নিয়ে নিজের কাছে রাখত। এ নিয়ে ২২ এপ্রিল সকালে মা- মেয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং ইয়ামনির মা মরিয়ম বেগম তাকে মোবাইল দেখতে বারণ করে। তিনি ব্যক্তিগত কাজে বাসা থেকে বের হয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে যায়। কিছুক্ষণ পর বাসায় এসে দেখতে পায় ইয়ামনি তার রুমের মধ্যে ছটফট করে আমাকে বাঁচাও বাঁচাও বলে কাঁদছে এবং বলছে আমি চালের মধ্যে দেওয়া বিষ ট্যাবলেট খেয়েছি। তাৎক্ষণিক বাড়ির লোকজনের সহযোগিতায় তার মা শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ওয়াশ করার ১৫ মিনিট পরে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে।
এ ব্যাপারে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশফাক হোসেন বলেন, চালের মধ্যে যে বিষ ট্যাবলেট দেওয়া হয় তা অত্যন্ত বিপজ্জনক। কারণ এর মধ্যে অ্যালুমিনিয়ামের মাত্রা অনেক বেশি থাকে যা মানুষ খেয়ে ফেললে বেশিক্ষন বাঁচে না। তিনি এ ধরনের ট্যাবলেট চালের মধ্যে না দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।
শরণখোলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল্লাহ বলেন, এ ঘটনায় শরনখোলা থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।পরিবারে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফন করার জন্য তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...