বিরল (দিনাজপুর)প্রতিনিধি: বিরলে জমি জমা ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি করে মারপিটে আহত হয়েছেন একই পরিবারের ৬ জন। আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনায় বিরল থানায় এজাহার দায়ের হয়েছে।
উপজেলার ৫নং বিরল ইউনিয়নের দরবারপুর গ্রামের মহবুর আলমের ছেলে পান্না পাভেল (২৩) জানান, একই গ্রামের মৃত. ইউসুফ আলীর ছেলে মোতাহার হোসেন (৬০), আব্দুল মমিন (৪৫), মোয়াজ্জেম হোসেন (৪৮), মোতাহার হোসেনের স্ত্রী মঞ্জু বেগম (৪৭), কন্যা বুলবুলি বেগম (৩০), মমতাজ বেগম (৩৫) এবং উপজেলার ১নং আজিমপুর ইউনিয়নের কাশিডাঙ্গা গ্রামের মৃত. রাকিমত এর ছেলে আব্দুস সালাম (৩৫) প্রতিপক্ষগণ নিজেদেরই ভাগিদার। বিবাদীগন জমি জমা ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার পরিবারের লোকজনের সাথে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি করে আমার পরিবারের লোকজনকে মারপিট করা’সহ আমাদের জমি জবর-দখল করার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে। আমার দুই বিবাহিত বোন মোছাঃ মাহাফুজা খাতুন, ও মঞ্জিলা আক্তার আমাদের বাড়ীতে আত্মীয়তা করার জন্য আমাদের বাড়ীতে আসে। এরই মধ্যে উপরোক্ত সকল বিবাদীগনেরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাদের জমি জবর দখল করার জন্য গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকাল আনুমানিক ৩টায় সময় তারা সকলেই একই উদ্দেশ্যে বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ হইয়া হাতে লাঠি সোঠা, লোহার রড, ধারালো হাসুয়া, চাইনিজ কুড়াল, সাবল সহ বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া আমাদের জমি জবর-দখল করার চেষ্টা করে। সেই সময় আমরা বাঁধা দিতে গেলে আমার পিতা মাহবুর আলম, আমার মাতা ও দুই বোন মাহাফুজা ও মঞ্জিলা আক্তার’কে এলোপাথারি ভাবে কিল ঘুষি মারপিট ও রক্তাক্ত জখম করে। আমার বোন মোছা. মঞ্জিলা আক্তারের পড়নের জামা কাপড় ছিড়িয়া বিবস্ত্র করিয়া শ্লীলতাহানী করে। আরেক বোন মোছা. মাহাফুজা খাতুন এর হাতের তালুর উপরের অংশে এবং কজির নিচে কামড় দিয়ে রক্ত জখম করে তার দুই হাতে পরিহিত ৬ আনা ওজনের স্বর্নের একজোড়া হাতের বালা এবং ১০ আনা ওজনের স্বর্নের একটি চেইন যাহার আনুমানিক মূল্য এক লক্ষ ষাট হাজার টাকা নিয়ে নেয়। ঘটনাস্থলে আমার ছোট ভাই মো. রাজু (৭) তার ব্যবহৃত বাইসাইকেল নিয়ে আসলে তাকেও মারপিট করে তার কাছে থাকা বাইসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে নেয় যাহার আনুমানিক মূল্য পাঁচ হাজার টাকা। আমার বোন মোছা. মাহাফুজা খাতুনের কোল থেকে তার মেয়ে/আমার ভাগ্নী সিদরাতুন মুনতাহা সানায়া (২.৫ বছর)’কে কেড়ে নিয়ে মাটিতে আছাড় দেয় এবং বিবাদীদ্বয় আমার দুই বোনের চুলের মুঠি ধরে টানা-হেচড়া করে বাড়ীতে অসৎ উদ্দেশ্যে নিয়ে গিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে রেখে হাত, পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লোহার রড দিয়ে স্ব-জোরে আঘাত করে নিলা ফুলা ও রক্তাক্ত জখম করে।
উক্ত ঘটনার বিষয়ে ৯৯৯ ফোন করে ঘটনার বিষয়ে অবগত করা হলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আমার দুই বোন, পিতা ও মাতাকে বিবাদীগনদের হাত থেকে উদ্ধার করে। তখন বিবাদীগনেরা আমার দুই বোন, পিতা, মাতা ও আমার পরিবারের অন্যান্য লোকজনদেরকে বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে। আমার বোন মোছা. মাহাফুজা খাতুন ও আমার পিতাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন।
উল্লেখিতদের নিকট হতে ছিনিয়ে নেয়া মালামাল উদ্ধারপূর্বক দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিবাদীগণের বিরুদ্ধে পান্না পাভেল বাদী হয়ে একটি এজাহার দায়ের করেন।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...