বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া মাহফিল রূপগঞ্জ সরকারি মুড়াপাড়া কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের সাত দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উদযাপন র‍্যালী আলোচনা সভা হুইলচেয়ার বিতরণ রাণীশংকৈলে মানবকল্যাণ পরিষদ এমকেপি’র ত্রৈমাসিক সভা   শখের বসে বিদেশি পাখি পালন করতে গিয়ে এখন খামারী রাণীশংকৈলের মোশাররফ রূপগঞ্জে স্বাস্থ্য সহকারীদের ৬ দফা দাবিতে কর্ম বিরতি বাবুলের উদ্যোগে ১২ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় ফগার মেশিনে ঔষধ ছিটানো অব্যাহত রূপগঞ্জে ভুয়া অনলাইন অ্যাপস VBSZ দেখিয়ে ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রূপগঞ্জের হোড়গাঁওয়ে মাদক কারবারি ও ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর মানববন্ধন তেঁতুলিয়ায় খেলার মাঠে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ্যতার জন্য দোয়া

শখের বসে বিদেশি পাখি পালন করতে গিয়ে এখন খামারী রাণীশংকৈলের মোশাররফ

মাহাবুব আলম / ২৭ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:০৫ অপরাহ্ন

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ পাখির কিচির মিচির শব্দ শুনতে কার না ভালো লাগে। তবে সেটা যদি হয় নানা প্রজাতির বাহারি রঙের বিদেশি পাখি। তাহলে তো কোনো কথাই নেই। এমনি ভাবে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের সোহদর গ্রামের তাহেরুল ইসলামের (তহরুম মেম্বার) ছেলে বেকার যুবক মোশাররফ শখের বশে পাখি কিনে পালন শুরু করেন। তবে শখ থেকে তিনি এখন বাণিজ্যিকভাবে পাখি পালন ও বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।

অনন্য উদ্যোগ ও পরিশ্রমের মাধ্যমে পাখি পালন করে এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তরুণ উদ্যোক্তা মোশাররফ হোসেন। শখের বশে শুরু করা পাখি পালনের কাজ এখন তাকে এনে দিয়েছে পরিচিতি। 

মোশাররফ হোসেনের বাড়ির আঙিনায় এখন রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির দেশি-বিদেশি পাখি। নিয়মিত যত্ন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সঠিক পরিচ্ছন্নতার ও খাবারের মাধ্যমে তিনি অল্প সময়ের মধ্যেই পাখি পালনকে সফলভাবে এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন। তার সংগ্রহে আছে, শানকুনুর, পাইনআপেল, কুনূর, সোনালী ময়না বিভিন্ন ধরনের কোকাটেল, লাভ বার্ডসহ আরও বেশ কয়েক প্রজাতির পাখি, এছাড়াও তার খামারে রয়েছে আমেরিকান লাতামেক্স কুকুর ও পার্ফিয়ান বিড়াল সেগুলো দেখতে প্রতিদিনই অনেক মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন তার বাড়িতে। 

স্থানীয়দের মতে, পাখি পালন নিয়ে মোশাররফের নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা সত্যিই প্রশংসনীয়। তার এই সাফল্য অনেক তরুণকে অনুপ্রাণিত করছে খামার ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে যেতে। 

মোশাররফ হোসেন জানান, আমি গত ৫ বছর ধরে এ খামার করে আসছি। ভবিষ্যতে আরও বড় করে পাখির খামার করার পরিকল্পনা রয়েছে।সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে তিনি এলাকার বেকার যুবকদেরও এ কাজে যুক্ত করতে চান।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রুপম চন্দ্র মহন্ত বলেন, পাখির রোগ-বালাই নেই বললেই চলে। কম সময় ও খুব কম খরচে এসব পাখি লালন-পালন করা যায় এবং লাভজনক একটা পেশা বলা যেতে পারে। এ বিষয়ে আমাদের দাপ্তরিক সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এ ক্যাটাগরীর আরো খবর..