মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এন্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্টারপ্রেনরশিপ এন্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) প্রোগ্রামের আওতায় পার্টনার কংগ্রেস  শরণখোলায় দশম শ্রেণির ছাত্রের আত্মহত্যা   আদালতের আদেশ অমান্য করে চা বাগান কেটে ফেলার অভিযোগ গৌরীপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে নারী যাত্রী অপহরণ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে উদ্ধার আটক-৪ ডিস লাইন ডিজিটাল চালু করনে স্যাট ভিশনের সংবাদ সম্মেলন  নলদীতে জামায়াত নেতার উপর স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হামলা তাহিরপুরে বসতঘরে আগুন, ৫ জনের নামে অভিযোগ ৪২ কেজি হরিণের মাংস জব্দ করেছে বনবিভাগ  নড়াইলে তুচ্ছ ঘটনায় নিহত-১ আহত-৩  নড়াইলে দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার ৪

স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা, অভিযুক্ত বাদল পলাতক

গ্রামীন কণ্ঠ ডেস্ক / ৩১ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন

পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামে স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা করেছেন এক চা বিক্রেতা।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর অভিযুক্ত মো. ওবায়দুল হক বাদল খান (৪৫) পলাতক রয়েছেন। তবে কী কারণে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারেনি নিহতের স্বজন কিংবা স্থানীয়রা।

৫ মে সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার ধাওয়া গ্রামে নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন-ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের নূর মো. আলীর স্ত্রী ফরিদা বেগম (৬৫) এবং তার মেয়ে চম্পা বেগম (৩২)।

স্থানীয় সূত্র জানায়, অভিযুক্ত ওবায়দুল হক বাদল খান এর আগে ৩টি বিয়ে করেছিলেন। সর্বশেষ গত ১৬ এপ্রিল প্রতিবেশী চাচাতো বোন চম্পাকে বিয়ে করেন তিনি। এরপর থেকেই সে স্ত্রী চম্পা, শাশুড়ি ফরিদা বেগম এবং প্রথম স্ত্রীর ছেলে ইয়াসিনকে (১০) নিয়ে একটি ফাঁকা বাড়িতে বাসবাস করতেন। সোমবার রাত ১১টার দিকে ইয়াছিন ঘর থেকে পালিয়ে এসে এক প্রতিবেশীকে জানায়, তার বাবা সৎ মা চম্পা এবং সৎ নানী অর্থাৎ চম্পার মাকে হত্যা করেছেন। এ খবর বলে ছেলে আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে চম্পার মামাতো বোন এবং প্রতিবেশী নাছিমা বেগমের ঘরের মধ্যে গিয়ে দুজনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তাদের শরীরে আগুন জ্বলছিল। তখন তিনি টয়লেটের পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে এবং এলাকাবাসী ও পুলিশকে খবর দেন। কী কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে কেউই কিছু বলতে পারেনি। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে অবুঝ শিশু পুত্র ইয়াসিনকে পাওয়া যাচ্ছে না। অবুঝ সন্তানকে পাওয়া গেলে হয়তো হত্যার কোনো রহস্য পাওয়া যেতে পারে।

এদিকে খবর পেয়ে স্থানীয় থানার পুলিশ, ডিবি  এবং সিআইডি’র একধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছ। অভিযুক্ত ওবায়দুল হক বাদল খান ধাওয়া বাজারে একটি চায়ের দোকান আছে।

ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমদ আনওয়ার জানায়, পারিবারিক কারণে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা করা যাচ্ছে। তিনি ২০ দিন আগে ৪র্থ বিবাহ করেন এখানে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এ ক্যাটাগরীর আরো খবর..