বিশেষ প্রতিনিধি: যশোর অভয়নগরে উত্তরা ব্যাংক নওয়াপাড়া শাখার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঋণ গ্রাহক আব্দুল মজিদ নামের এক ব্যক্তিকে ঋণের টাকা আদায়ের অজুহাতে হয়রানি ও সম্মানহানিসহ বিভিন্ন হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাদিরপাড়া বাজারে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা কাদিরপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদ মোল্লা উত্তরা ব্যাংক নওয়াপাড়া শাখা থেকে ৮ বছর মেয়াদি ১০ লাখ টাকা ঋণ গ্রহন করে। যার মেয়াদ হয়েছে ৩২ মাস তার মধ্যে ২৯ কিস্তি পরিশোধ করা হয়েছে, বকেয়া পড়েছে ৩ কিস্তি। যে কারনে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ভুক্তভোগীর জমিতে নিলাম সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়েছে। যাতে লেখা আছে উত্তরা ব্যাংক পিএলসি নওয়াপাড়া শাখার দায়বদ্ধ এই জমি নিলামে বিক্রি হইবে।
এবিষয়ে ঋণ গ্রাহক আব্দুল মজিদ মোল্লার ছেলে মো. রবিউল মোল্লা বলেন, আমার পিতার নামে উত্তরা ব্যাংক নওয়াপাড়া শাখা থেকে ৮ বছর মেয়াদি ১০ লাখ টাকা ঋণ গ্রহন করা হয়েছে। যে ঋণ গ্রহনের বয়স ৩২ মাস হয়েছে। ফলে আমরা ২৯ মাসে ২৯ কিস্তি পরিশোধ করেছি। আমার ছেলের অপারেশন করায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা খরচ হওয়ায় আমার চলতি কিস্তির ৩ টি বকেয়া পড়েছে, যে কারনে মে মাস থেকে ২ টি কিস্তি করে পরিশোধ করে বকেয়া তিনটা কিস্তি আমরা পরিশোধ করবো। কিন্তু হঠাৎ ওই ব্যাংকের ম্যানেজারসহ অন্য কর্মকর্তারা এসে হাজার হাজার মানুষকে সামনে রেখে আমার বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ওই সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয় এবং বিভিন্ন মামলা করে হয়রানি করার হুমকি দিতে থাকে। আমি বার বার অনুনয়-বিনয় করে অনুরোধ করার পরেও তারা আমাদের কোন কথা কর্ণপাত করেনি। এমনকি ঋণের তিন কিস্তি বকেয়া পড়েছে সে সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার নোটিশ ও দেয়নি। সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে আমাদের জমিতে সাইনবোর্ড টানিয়ে রিতিমত আমাদের কোটি টাকার সম্মানহানি করেছে তারা। আমি ব্যক্তিগত ভাবে ব্যাংকের ওই কর্মকর্তাদের কারণে আমাদের মানসম্মান মাটির সাথে মিশে গেছে। আমি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের এহেন কর্মকান্ডের ন্যায় বিচার কামনা করছি।
এবিষয়ে উত্তরা ব্যাংক নওয়াপাড়া শাখার রিলেশনশিপ ম্যানেজার ইশতিয়াক বলেন, তার সাড়ে ৫ কিস্তি বকেয়া পড়েছে তাই তার জমি নিলাম করার ঘোষণা দিয়ে সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে। কোনপ্রকার ঋণ আদায়ের নোটিশ দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা নোটিশ ইসু করা হয়েছিলো সে নোটিশ ওই ঋণ গ্রাহক পেয়েছে কি না জানিনা।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...