রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রূপগঞ্জে স্বাস্থ্য সহকারীদের ৬ দফা দাবিতে কর্ম বিরতি বাবুলের উদ্যোগে ১২ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় ফগার মেশিনে ঔষধ ছিটানো অব্যাহত রূপগঞ্জে ভুয়া অনলাইন অ্যাপস VBSZ দেখিয়ে ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রূপগঞ্জের হোড়গাঁওয়ে মাদক কারবারি ও ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর মানববন্ধন তেঁতুলিয়ায় খেলার মাঠে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ্যতার জন্য দোয়া নারায়ণগঞ্জে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় রূপগঞ্জ বিএনপির আয়োজনে লাখো মানুষের দোয়া রূপগঞ্জে ইটভাটায় গ্যাস সিলেন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিকান্ড ২০ ঘর পুড়ে ছাঁই খালেদা জিয়ার অবস্থার উন্নতি রূপগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা আলোচনা সভা

অতিরিক্ত টাকার নেশা একটি মানসিক রোগ: ডা. এজাজ

গ্রামীন কণ্ঠ ডেস্ক / ৪৭৫ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২৭ অপরাহ্ন

বিশেষ প্রতিনিধি : নন্দিত অভিনেতা ডা. এজাজুল ইসলাম। অভিনয়ের পাশাপাশি পেশায় তিনি একজন চিকিৎসকও। তার জীবনের অন্যতম বিশেষ দিক হলো তার সততা। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত টাকার নেশাও নেই অভিনেতার। এ কারণে মানুষের কাছে সুখ্যাতিও রয়েছে ডা. এজাজের।

অল্প টাকায় চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কারণে ‘গরিবের ডাক্তার’ বলেও তিনি পরিচিত। অভিনেতা মনে করেন, একজন চিকিৎসকের প্রধান কাজ হলো সেবা দেওয়া। তাই এখনও নিজের চেম্বারে মাত্র ৩০০ টাকায় রোগী দেখেন এজাজ। কারণ, অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের লোভ কখনও প্রভাবিত করতে পারেনি তাকে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন ডা. এজাজ। অভিনেতা বলেন, আমার ভিজিট এখনও তিনশো টাকার বেশি বাড়াইনি। আমার যখন প্রোমোশন হলো, তখন আমার স্টাফরা আমাকে বলল, আপনার জুনিয়র চিকিৎসকরা আপনার চেয়ে বেশি ভিজিট নেয়, আপনি তো আরও বিশেষজ্ঞ। এত কম ভিজিট নিলে তো মানুষ সন্দেহ করবে, মান সম্মান থাকবে না! আমি বললাম, সন্দেহ করার তো কিছু নেই।

এজাজ আরও বলেন, এরপর যখন ৫০০ টাকা ভিজিট নেওয়া শুরু করলাম, তখন আমার মনে হলো যে, ৫০০ টাকা দিতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে ওদের! আমি দুদিন পর্যন্ত নিলাম। পরে স্টাফদের ডাক দিয়ে বললাম, ভিজিট তিনশো টাকাই থাকবে এবং এটা আমৃত্যু।

অভিনয় ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তামিম

অভিনেতা বলেন, আমি খেতে পরতে পারি, চিকিৎসার খরচ টানতে পারি, ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচটাও আল্লাহ চালানোর সুযোগ দিয়েছেন। তো, খারাপ কি! এর চেয়ে বেশি টাকার তো আমার মনে হয় না প্রয়োজন আছে। একজন মানুষ কেন এত টাকার পেছনে ছুটবে, এত টাকার কেন তার প্রয়োজন হবে। আমি মনে করি অকারণে টাকার পেছনে ছোটার নেশা একটি মানসিক রোগ।

প্রসঙ্গত, কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের নাটকের মাধ্যমে নাটকে আগমস ডা. এজাজের। তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’। এরপর ‘দুই দুয়ারী’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘শ্যামল ছায়া’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। ‘তারকাঁটা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ৩৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতার পুরস্কার পান ডা. এজাজ। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিনেতা। যা তার কর্মজীবনের নতুন একটি মাইলফলক।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এ ক্যাটাগরীর আরো খবর..