রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রূপগঞ্জে স্বাস্থ্য সহকারীদের ৬ দফা দাবিতে কর্ম বিরতি বাবুলের উদ্যোগে ১২ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় ফগার মেশিনে ঔষধ ছিটানো অব্যাহত রূপগঞ্জে ভুয়া অনলাইন অ্যাপস VBSZ দেখিয়ে ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রূপগঞ্জের হোড়গাঁওয়ে মাদক কারবারি ও ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর মানববন্ধন তেঁতুলিয়ায় খেলার মাঠে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ্যতার জন্য দোয়া নারায়ণগঞ্জে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় রূপগঞ্জ বিএনপির আয়োজনে লাখো মানুষের দোয়া রূপগঞ্জে ইটভাটায় গ্যাস সিলেন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিকান্ড ২০ ঘর পুড়ে ছাঁই খালেদা জিয়ার অবস্থার উন্নতি রূপগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা আলোচনা সভা

গ্রেপ্তরি পরোয়ানাভুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে, একজন পলাতক

গ্রামীন কণ্ঠ ডেস্ক / ১৫৭ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩১ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার :

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত সাবেক ও বর্তমান ২৪ জন সেনা কর্মকর্তার মধ্যে ১৫ জনকে ঢাকায় সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং একজন পলাতক রয়েছেন। হেফাজতে থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৪ জন কর্মরত, একজন এলপিআরে থাকা কর্মকর্তা।

শনিবার (১১ অক্টোবর) ঢাকা সেনানিবাসের মেসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান।

গত ৮ অক্টোবর সাবেক ও বর্তমান ২৪ জন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

২১ অক্টোবরের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করে ২২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, যেসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট হয়েছে তাদের মধ্যে ১৫ জন কর্মকর্তা ঢাকায় সেনা হেফাজতে আছেন।

আমরা ১৬ জনকে সেনা হেফাজতে আসার জন্য বলেছিলাম। ১৫ জন আমাদের সেনা হেফাজতে এসেছেন।

তিনি বলেন, গত ৮ অক্টোবর আইসিটিত প্রথম দুইটা চার্জশিট জমা পড়ে। এরপর তৃতীয় আরেকটা চার্জশিট জমা পড়ে। এই সংবাদটি আসা শুরু করেছে বেলা ১১টা থেকে ১টার মধ্যে। আমারা টিভি স্ক্রলের মাধ্যমে জানতে পেরেছি চার্জশিট জমা পড়েছে এবং ট্রাইব্যুনাল এক্সেপটেড হয়েছে। চার্জশিটগুলোর মধ্যে একটা ছিল গুম-সংক্রান্ত, যারা তখন ডিজিএফআই-এ কর্মরত ছিলেন তাদের একটা বড় অংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ। আরেকটা ছিল র‍্যাবের টিএফআই নিয়ে, আরেকটা ৪-৫ আগস্টের রামপুরার ঘটনা নিয়ে। এরপর সাথে সাথে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়ে গেল। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পর আইজিপির কাছে চলে যায়  নিয়ম অনুযায়ী এবং ২২ তারিখ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। তবে আমরা এখন পর্যন্ত কোনো চার্জশিট কিংবা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাইনি।

এই সেনা কর্মকর্তা জানান, চার্জশিটে প্রায় ২৫ জন সেনা কর্মকর্তার নাম এসেছে। এর মধ্যে অবসরে আছেন ৯ জন কর্মকর্তা, এলপিআরে আছেন একজন ও কর্মরত আছেন ১৫ জন। যারা অবসরে চলে গেছেন তাদের প্রতি আমাদের সেনা আইন ওইভাবে খাটে না।

তিনি বলেন, তবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সংবিধান স্বীকৃত বাংলাদেশের সকল আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ তারিখে কর্মরত ১৫ ও এলপিআরে থাকা একজন সেনা কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে আসার জন্য একটা আদেশ সংযুক্তি করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আদেশে তাদের বলা হয়েছে ৯ তারিখে তারা যেন ঢাকা সেনানিবাসে সেনা হেফাজতে চলে আসেন। আমরা কিন্তু এখনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাইনি বা পুলিশও আমাদের কিছু জানায়নি। তারপরও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার কারণে স্বপ্রণোদিত হয়ে এসব কর্মকর্তাকে হেফাজতে আসার জন্য আদেশ দিয়ে দেয়।

মেজর জেনারেল হাকিমুজ্জামান আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এরকম প্র্যাকটিস করে। এটার মতো না হলেও এরকম কিংবা অনেক সেনসিটিভ কেসের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৫৪ বছর পার করে এসেছে। যাদের নামে অভিযোগ ওঠে প্রথমে তাদের আমরা হেফাজতে নিয়ে নেই। তখন বিভিন্ন কোর্ট মার্শাল হয়, কোর্ট মার্শালের রায় অনুযায়ী, বিচারের রায় অনুযায়ী আইনানুগ  ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আমরা যাদের হেফাজতে আসতে বলেছি তাদের মধ্যে সবাই রেসপন্স করেছেন।

কিন্তু এর মধ্যে শুধু একজন রেসপন্স করেননি। ওই একজন কর্মকর্তা ৯ তারিখ পর্যন্ত কোনো রেসপন্স করেননি। পরে ১০ তারিখে আমরা তার সঙ্গে আবার যোগাযোগের চেষ্টা করি এবং তার পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করি। আমরা জানতে পারি তিনি ৯ অক্টোবর সকালে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন একজন আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করার কথা বলে। কিন্তু পরে তিনি আর বাসায় ফেরত আসেননি। তারপর তার সঙ্গে তার পরিবারেরও মোবাইল ফোনেও কোনো যোগাযোগ স্থাপন হয়নি। তিনি হলেন মেজর জেনারেল কবির।

হাকিমুজ্জামান বলেন, এ পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নিয়ম অনুযায়ী তাকে ইলিগ্যাল অ্যাবসেন্ট হিসেবে ঘোষণা করি। এরপর আমরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আরও কিছু অফিসিয়াল কাজ সম্পন্ন করি গত ১০ অক্টোবর। সাথে সাথে আমরা ডিজিএফআই, এনএসআই ও বিজিবিকে বলেছি তোমরা যে যেখানে আছো —স্থলবন্দর, বিমানবন্দর ও সমুদ্র বন্দর দিয়ে যেন উনি অবৈধভাবে দেশের বাইরে না যেতেন পারেন। ওনার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনাতেও আমরা লোক পাঠিয়েছি। উনি দেশের বাইরে চলে যেতে পারেন—এ বিষয় মাথায় রেখেও আমরা খোঁজ নিয়েছি। উনি যাতে দেশের বাইরে না যেতে পারেন, সেজন্য আমি নিজে ডিজি ডিজিএফআই, ডিজি এনএসআই ও ডিজি বিজিবির সঙ্গে কথা বলেছি।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এ ক্যাটাগরীর আরো খবর..